উখিয়ার পালংখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থী কর্তৃক এক আদিবাসী নারী ধর্ষণের চেষ্টার শিকার।

রোববার (২০ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার আওতাধীন পালংখালী ইউনিয়নে রোহিঙ্গা শরণার্থী কর্তৃক এক আদিবাসী লাচু চাকমা(৩৫) ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।অভীযুক্ত সৈয়দুল ইসলাম(২৮)পিতা:সুলতান আহাম্মদ,ক্যাম্প-১১ ব্লক D-4(ভুক্তভোগী)লাচু চাকমা(৩৫)পিতা: চেমং চাকমা, তেলখোলা গৌজুখোলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা। আজ সকাল ৭ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী নারী লাচু চাকমা বলেন সকালে কলাবাগানে কাজ করতে যাওয়ার পথিমধ্যে ওঁৎপেতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী ছৈয়দুল ইসলাম আটকায় এবং হাত দিয়ে তার(ভুক্তভোগীর) মুখ চেপে ধরে পাশের কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন।

ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার মুখ থেকে ধর্ষকের হাত সরাতে পারলে তিনি চিৎকার শুরু করেন এবং তৎক্ষনাৎ (ভুক্তভোগীর) চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সেইসাথে ধর্ষণের চেষ্টাকারী রোহিঙ্গা শরনার্থী ছৈয়দুল ইসলামকেও তারা হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম। তৎক্ষনাৎ স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন দিলে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করেন! (এসআই) সুমন গণমাধ্যম কর্মীকে এই ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন মেম্বার বলেন স্থানীয় একজন চাকমা কলাবাগানে যাওয়ার পথে রোহিঙ্গা শরনার্থী লাচু চাকমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন, উক্ত ঘটনা সত্য প্রমাণিত হয়। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী নিজ গ্রাম উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ‘তেলখোলা গৌজুখোলা চাকমা পাড়ার, সকালে কলাবাগানে কাজ করতে যাচ্ছিলেন।ভুক্তভোগী নারী কলাবাগানে কাজ করতে যাওয়ার পথে রোহিঙ্গা শরনার্থী ছৈয়দুল ইসলাম ধর্ষণ করার জন্য চেষ্টা করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানান। স্থানীরা তাহার কঠোর শাস্তি দাবি করেন। ভারপ্রাপ্ত কার্মকর্তা আরিফ হোসাইন চৌধুরী বলেন উক্ত ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। সে সাথে অভিযুক্ত রোহিঙ্গা শরনার্থী সৈয়দুল ইসলাম থানা হেফাজতে আছেন বলে ভারপ্রাপ্ত কার্মকর্তা আরিফ হোসাইন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।