রংপুরের কাউনিয়ায় ধান ফসলের রোগবালাই দমনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘অতন্দ্র জরিপ’ পদ্ধতি। রোগ ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় এই ‘অতন্দ্র জরিপ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ‘অতন্দ্র জরিপ’-এর মাধ্যমে ফসলের নির্বাচিত ক্ষেতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পর্যবেক্ষণ করে বালাইয়ের আক্রমণ ও ক্ষতি সম্পর্কিত তথ্যাদি নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করা এবং সেসব তথ্যাদির ওপর ভিত্তি করে বালাই দমন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এছাড়া অতন্দ্র জরিপের ফলে মাঠে কি ধরনের সমস্যা রয়েছে- তা নির্ধারণপূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অতন্দ্র জরিপ পদ্ধতিতে ফসলের রোগবালাই ও পোকা মাকড়, পানির অবস্থা, আবহওয়া ইত্যাদি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
কাউনিয়া উপজেলায় ৫ টি ব্লকে সার্ভিলেন্স পরিচালনা করা হচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায় শহীদবাগ ইউনিয়নের সাব্দী ব্লকের রবিবার
দুপুরে শহীদবাগ ইউনিয়নের সাব্দী ব্লকের কৃষক রোস্তম আলীর ৫০ শতাংশ
অতন্দ্র জরিপ পরিচালনা করা হয় ,এ সময় প্লটের ৪, ৭, ১১, ১৪, ১৮ নম্বর গুছিতব্লকে অতন্দ্র জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপকৃত অতন্দ্র জরিপের প্লটের আয়তন ৫০ শতাংশ। মাঠের আয়তন ২০ হেক্টর।
জানা গেছে, এই পদ্ধতিতে প্রতি ৫০ শতক জমিতে কোনাকুনিভাবে ধান বা অন্য ফসলের ২০টি করে গোছা নির্বাচন করা হয়। প্রতি গোছায় ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা এবং পাতার সংখ্যা গণনা করে তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়,অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগেই সতর্ক হতে পারছেন চাষিরা। সেইসঙ্গে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে। ফলে দিন দিন এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে কৃষকরাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা,
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহর আলী জানান, অতন্দ্র জরিপ নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষায় অতন্দ্র জরিপ খুবই কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকতার জানান , ফসলে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আগেই ‘অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে সতর্ক হতে পারবেন চাষিরা। সে সঙ্গে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করাও সম্ভব হবে। এজন্য এ পদ্ধতি কৃষকের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।