ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়ন মেরকুটা গ্রামে বসতবাড়ির পাশে দুটি মুরগির খামারের বর্জ্যরে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। গত কয়েক বছর ধরে দুর্গন্ধের মধ্যদিয়েই এলাকাবাসী দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।এদিকে খামারগুলো অপসারণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না বলে এলাকাবাসী জানায়, ২০১৫ সালে জজ মিয়ার জায়গায় ২টি মুরগির খামার নির্মাণ করেন। পরে ২০২৫ সালে আরও ১টি খামার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বর্তমানে প্রতিটি খামারে ৩-৪ হাজার করে মুরগি রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে বাবুল মিয়া প্রভাব খাটিয়ে খামারগুলো নির্মাণ করেছেন।এসব খামারের মুরগির বর্জ্যরে দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে দুর্গন্ধের মধ্যদিয়েই থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুর রহিম মিয়ার বাড়ির সামনে প্রায় ৮ হাত দূরে পোল্ট্রি মুরগির খামার একসঙ্গে দুইটি খামার রয়েছে। খামারগুলোর পাশেই একটি গর্তে মুরগির বিষ্টা রাখা হয়েছে। বিষ্টার গর্তে পানি জমে কিড়া ও মাছি কিলবিল করছে আর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম মিয়া জানান, মুরগির বর্জ্যরে দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না।রোদ উঠলে বাতাসে দুর্গন্ধ আরও বেশি ছড়ায়। এছাড়াও মুরগির উচ্চশব্দের কারণে রাতে ঘুমানো যায় না। রিনা বেগম জানান, দুর্গন্ধের কারণে বমি আসে। বর্ষাকালে ঘরের ভেতরে মাছি ও কিড়া ঢুকে চলাফেরা করে। তখন ঘরে বসে খাওয়া-দাওয়া করা যায় না। এছাড়া দুর্গন্ধের কারণে বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসা বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্গন্ধ ও মুরগির উচ্চশব্দের কারণে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না।পাশের বাড়ির শাফি আহমেদ জানান, খামারগুলো আমাদের বাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্হানীয় সাহেব সরদার ও মেম্বারের বরাবর একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি। এবিষয়ে খামারের মালিক বাবুল মিয়ার তাদের খামার থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দুর্গন্ধ যাতে না ছড়ায় সে ব্যবস্থা আমাদের করা আছে।