রাজধানীর বনানীতে নির্মমভাবে খুন হওয়া প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম পারভেজের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা পারভেজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক সন্ত্রাসী হামলা।’ তারা বলেন, এ হামলায় সরাসরি জড়িত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামের সংগঠনটি এখন আর অরাজনৈতিক নেই। এটি একটি নব্য ফ্যাসিস্ট হিসেবে পরিণত হয়েছে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে প্রশাসনকে প্রভাবিত করছে। তাদের আচরণ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মতো, আর তারা দেশে এক নতুন ফ্যাসিবাদ কায়েমের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অন্যতম নেতা আজমাইন সাকিব। তিনি বলেন, “ছাত্রদল নেতা পারভেজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সারা দেশের ছাত্রসমাজের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।”
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মাহমুদ ইমরান বলেন, “পারভেজ হত্যাকাণ্ড ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে এমন সন্ত্রাস বারবার ঘটবে।”
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন—মো. আব্দুল্লাহ নূর কাফি, জিয়াদুর রহমান, এ আরাফাত, ওসমান সাকিব, মো. রিফাত মাহমুদ, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জাফর, মো. মিরাজ, মো. হাবিব, মো. হাসান, মো. হোসেন, আলভী, মো. সাকিব মিয়া, তুহিন, সায়মন, তাহমিদ হক মামুন ও সোহাগ প্রমুখ।
ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ জানান, ‘ভবিষ্যতেও সকল অন্যায়, সন্ত্রাস ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাবে।’