বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
 দৈনিক বাংলাদেশ

কন্যাকে কেন্দ্র করে কাবিন বাণিজ্য ও প্রতারণা



কন্যাকে কেন্দ্র করে কাবিন বাণিজ্য ও প্রতারণা


কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর ৯নং ওয়ার্ড থেকে উঠে এসেছে এক হৃদয়বিদারক ও লজ্জাজনক প্রতারণার অভিযোগ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মোজাম্মেল হক (৪৫) ও মোছাঃ মোহছানা বেগম (৩৫) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা তাদের কন্যা জান্নাতুন আক্তার মিম কে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে কাবিননামার নামে প্রতারণামূলক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

স্থানীয় সূত্র ও একাধিক ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, জান্নাতুন আক্তার মিমকে একাধিকবার বিয়ের পাঁয়তারা করে পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করানো হয়। 

এরপর কাবিননামা তৈরি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করা হয় এবং কিছুদিন পর ভিন্ন অজুহাতে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়া হয়। 

এইভাবে একের পর এক জীবন ধ্বংস করে চলছে একটি পরিবারকেন্দ্রিক অপরাধ চক্র, যা সমাজের জন্য এক ভয়ঙ্কর উদাহরণ।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, তারা শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হননি, বরং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়ে মানসিক ভঙ্গুরতায় ভুগছেন। 

অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না, ফলে এই প্রতারণার শিকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমি সবকিছু হারিয়ে আজ পথে বসেছি

আমার জীবন, সম্মান, পরিবার এর সব ধ্বংস হয়ে গেছে। 

এ ঘটনায় প্রশাসনের নীরবতা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতায় প্রশ্ন উঠছে

এই বিষয় টা নিয়ে  সমাজের সচেতন মহল বলছেন, এখনই যদি এই অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নিরীহ মানুষ এর শিকার হবে।

এ বিষয়ে সুশীল সমাজ ও প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা  করছেন এলাকাবাসী।

আপনার মতামত লিখুন

 দৈনিক বাংলাদেশ

প্রকাশের তারিখ : ১৪ মে ২০২৫


কন্যাকে কেন্দ্র করে কাবিন বাণিজ্য ও প্রতারণা

প্রকাশের তারিখ : ০৪ মে ২০২৫

featured Image


কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর ৯নং ওয়ার্ড থেকে উঠে এসেছে এক হৃদয়বিদারক ও লজ্জাজনক প্রতারণার অভিযোগ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মোজাম্মেল হক (৪৫) ও মোছাঃ মোহছানা বেগম (৩৫) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা তাদের কন্যা জান্নাতুন আক্তার মিম কে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে কাবিননামার নামে প্রতারণামূলক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

স্থানীয় সূত্র ও একাধিক ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, জান্নাতুন আক্তার মিমকে একাধিকবার বিয়ের পাঁয়তারা করে পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করানো হয়। 

এরপর কাবিননামা তৈরি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করা হয় এবং কিছুদিন পর ভিন্ন অজুহাতে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়া হয়। 

এইভাবে একের পর এক জীবন ধ্বংস করে চলছে একটি পরিবারকেন্দ্রিক অপরাধ চক্র, যা সমাজের জন্য এক ভয়ঙ্কর উদাহরণ।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, তারা শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হননি, বরং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়ে মানসিক ভঙ্গুরতায় ভুগছেন। 

অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না, ফলে এই প্রতারণার শিকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমি সবকিছু হারিয়ে আজ পথে বসেছি

আমার জীবন, সম্মান, পরিবার এর সব ধ্বংস হয়ে গেছে। 

এ ঘটনায় প্রশাসনের নীরবতা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতায় প্রশ্ন উঠছে

এই বিষয় টা নিয়ে  সমাজের সচেতন মহল বলছেন, এখনই যদি এই অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নিরীহ মানুষ এর শিকার হবে।

এ বিষয়ে সুশীল সমাজ ও প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা  করছেন এলাকাবাসী।


 দৈনিক বাংলাদেশ

সম্পাদক ও প্রকাশক  ঃ আব্দু শুক্কুর 

কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক বাংলাদেশ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত