
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসরদের তালিকা প্রকাশের নিমিত্তে সংবাদ সম্মেলন করে সচিবালয় ও প্রশাসনে কর্মরতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’ নামের একটি সংগঠন। প্রকাশিত তালিকায় ৫ নাম্বার সিরিয়ালে অন্তর্ভুক্ত কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদারের নাম রয়েছে। ইউএনওর নাম দোসরদের তালিকায় প্রকাশ পাওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সচিবালয় ও প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে ‘জুলাই ঐক্য’। সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয় ও প্রশাসনে কর্মরত আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে ৪৪ জন সচিব এবং ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নামের তালিকা প্রকাশ করে ‘জুলাই ঐক্য’ নামে সংগঠনটি।
ওই তালিকার ৫ নাম্বার সিরিয়ালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মহাখালি, সায়েদাবাদ, হানিফ ফ্লাইওভার, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া ও দনিয়া এলাকায় গুলি ও হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
১৮ জুলাই ২০২৪ ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দায়িত্বপালনকালে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে ওই স্থানে দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্য ল্যান্স নায়েক মোস্তফা সাবমেশিনগান (এসএমজি) দিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ সংক্রান্ত যে তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ছক অনুযায়ী প্রস্তুত করে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে- সেখানেও উজ্জ্বল কুমার হালদারের নাম রয়েছে।
উজ্জ্বল কুমার হালদার শিক্ষাজীবনে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বলে জানা গেছে। গত ২৬ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
প্রকাশের তারিখ : ২৭ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২২ মে ২০২৫
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসরদের তালিকা প্রকাশের নিমিত্তে সংবাদ সম্মেলন করে সচিবালয় ও প্রশাসনে কর্মরতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’ নামের একটি সংগঠন। প্রকাশিত তালিকায় ৫ নাম্বার সিরিয়ালে অন্তর্ভুক্ত কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদারের নাম রয়েছে। ইউএনওর নাম দোসরদের তালিকায় প্রকাশ পাওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সচিবালয় ও প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে ‘জুলাই ঐক্য’। সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয় ও প্রশাসনে কর্মরত আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে ৪৪ জন সচিব এবং ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নামের তালিকা প্রকাশ করে ‘জুলাই ঐক্য’ নামে সংগঠনটি।
ওই তালিকার ৫ নাম্বার সিরিয়ালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মহাখালি, সায়েদাবাদ, হানিফ ফ্লাইওভার, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া ও দনিয়া এলাকায় গুলি ও হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
১৮ জুলাই ২০২৪ ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দায়িত্বপালনকালে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে ওই স্থানে দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্য ল্যান্স নায়েক মোস্তফা সাবমেশিনগান (এসএমজি) দিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ সংক্রান্ত যে তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ছক অনুযায়ী প্রস্তুত করে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে- সেখানেও উজ্জ্বল কুমার হালদারের নাম রয়েছে।
উজ্জ্বল কুমার হালদার শিক্ষাজীবনে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বলে জানা গেছে। গত ২৬ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন