বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
 দৈনিক বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে গিয়ে এনআইডি, ঢাকার কেরানীগঞ্জে পাসপোর্ট করেছেন রোহিঙ্গা যুবক হারেজ


আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ
আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২২ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ |

সুনামগঞ্জে গিয়ে এনআইডি, ঢাকার কেরানীগঞ্জে পাসপোর্ট করেছেন রোহিঙ্গা যুবক হারেজ
সুনামগঞ্জে গিয়ে এনআইডি, ঢাকার কেরানীগঞ্জে পাসপোর্ট করেছেন রোহিঙ্গা যুবক হারেজ

টাকা দিলে সব কিছু সম্ভব সেই কথা আবারো প্রমান করে দেখিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা হারেজ। এই রোহিঙ্গা যুবক সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় গিয়ে পিতা মাতার নাম পরিচয় বাদ দিয়ে ভোটার হয়েছেন। আবার তিনি পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ঠিকানায়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানার পরে খোঁদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দার হতবাক হয়ে গেছেন।

একটি জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি নং ৮৭৩২৩৫০৫৪৪)র তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, এনআইডি কার্ডধারী মোহাম্মদ হারেজ ২০১৭ সালের পরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১ এর ৪ নং ব্লকের ৬ নং সিসি বা রোড়ে। সেখানে তার পিতার নাম ছিল ছৈয়দ আকবর। তবে সেই রোহিঙ্গা যুবক হারেজ বর্তমানে বাংলাদেশী বাসিন্দা হয়ে গেছেন। বর্তমানে তার এনআইডি কার্ডের ঠিকানা অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার হলিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। 

এনআইডি কার্ড নিয়েছে ২৭/৮/২০২৫। শুধু এখানে শেষ নয় সেই রোহিঙ্গা যুবক হারেজ আবার পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন ঢাকার জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ঠিকানায় (তার পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লিপ থেকে প্রাপ্ত) বিষয়টি নিয়ে ১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪ নং ব্লকের রোহিঙ্গা আয়াতুল্লাহ,আলী আহমদ সহ অনেকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম হারেজ তার পিতার নাম ছিল ছৈয়দ আকবর। 

মা‘র নাম জানিনা, সেই হারেজ প্রায় দেড় বছর আগে জাল পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যেতে চাইলে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক হয়ে পরে ক্যাম্পে ফেরত আসে। এখন দেখছি সে আবার সুনামগঞ্জ জেলায় গিয়ে তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম এবং মায়ের নাম জেসমিন দিয়ে ভোটার আইডি সংগ্রহ করেছে তার বাংলাদেশী আইডি নং ৮৭৩২৩৫০৫৪৪। আবার দেখেছি সে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ গিয়ে পাসপোর্ট করতে দিয়েছে। তারা বলেন,টাকা দিলে যে এখানে সব কিছু সম্ভব সেটা হারেজ প্রমান করেছে। তারা জানান,তার আরেক ভাই হামিম সে রফিক নাম দিয়ে রাঙ্গামাটি থেকে পাসপোর্ট করে বর্তমানে সৌদি আরব আছে।

এ ব্যপারে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন,রোহিঙ্গা প্রতিনিয়ত ক্যাম্প থেকে বের হয়ে মাদকের টাকার জোরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে এনআইডি,পাসপোর্ট করছে। এখন রোহিঙ্গা হারেজ বাংলাদেশী হয়ে গেলে তার আইডি ব্যবহার করে আরো শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশী বনে যাবে। 

এভাবেই বাংলাদেশের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যাচাই করে দেখেছি রোহিঙ্গা হারেজ রোহিঙ্গা সন্ত্রসাী গোষ্টির সাথেও সম্পৃক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে এবং তাকে যারা এনআইডি এবং পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছে সে সব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হবে। একই সাথে দ্রুত এই রোহিঙ্গা হারেজের এনআইডি এবং পাসপোর্ট বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।

আপনার মতামত লিখুন

 দৈনিক বাংলাদেশ

প্রকাশের তারিখ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫


সুনামগঞ্জে গিয়ে এনআইডি, ঢাকার কেরানীগঞ্জে পাসপোর্ট করেছেন রোহিঙ্গা যুবক হারেজ

প্রকাশের তারিখ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

টাকা দিলে সব কিছু সম্ভব সেই কথা আবারো প্রমান করে দেখিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা হারেজ। এই রোহিঙ্গা যুবক সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় গিয়ে পিতা মাতার নাম পরিচয় বাদ দিয়ে ভোটার হয়েছেন। আবার তিনি পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ঠিকানায়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানার পরে খোঁদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দার হতবাক হয়ে গেছেন।

একটি জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি নং ৮৭৩২৩৫০৫৪৪)র তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, এনআইডি কার্ডধারী মোহাম্মদ হারেজ ২০১৭ সালের পরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১ এর ৪ নং ব্লকের ৬ নং সিসি বা রোড়ে। সেখানে তার পিতার নাম ছিল ছৈয়দ আকবর। তবে সেই রোহিঙ্গা যুবক হারেজ বর্তমানে বাংলাদেশী বাসিন্দা হয়ে গেছেন। বর্তমানে তার এনআইডি কার্ডের ঠিকানা অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার হলিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। 

এনআইডি কার্ড নিয়েছে ২৭/৮/২০২৫। শুধু এখানে শেষ নয় সেই রোহিঙ্গা যুবক হারেজ আবার পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন ঢাকার জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ঠিকানায় (তার পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লিপ থেকে প্রাপ্ত) বিষয়টি নিয়ে ১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪ নং ব্লকের রোহিঙ্গা আয়াতুল্লাহ,আলী আহমদ সহ অনেকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম হারেজ তার পিতার নাম ছিল ছৈয়দ আকবর। 

মা‘র নাম জানিনা, সেই হারেজ প্রায় দেড় বছর আগে জাল পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যেতে চাইলে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক হয়ে পরে ক্যাম্পে ফেরত আসে। এখন দেখছি সে আবার সুনামগঞ্জ জেলায় গিয়ে তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম এবং মায়ের নাম জেসমিন দিয়ে ভোটার আইডি সংগ্রহ করেছে তার বাংলাদেশী আইডি নং ৮৭৩২৩৫০৫৪৪। আবার দেখেছি সে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ গিয়ে পাসপোর্ট করতে দিয়েছে। তারা বলেন,টাকা দিলে যে এখানে সব কিছু সম্ভব সেটা হারেজ প্রমান করেছে। তারা জানান,তার আরেক ভাই হামিম সে রফিক নাম দিয়ে রাঙ্গামাটি থেকে পাসপোর্ট করে বর্তমানে সৌদি আরব আছে।

এ ব্যপারে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন,রোহিঙ্গা প্রতিনিয়ত ক্যাম্প থেকে বের হয়ে মাদকের টাকার জোরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে এনআইডি,পাসপোর্ট করছে। এখন রোহিঙ্গা হারেজ বাংলাদেশী হয়ে গেলে তার আইডি ব্যবহার করে আরো শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশী বনে যাবে। 

এভাবেই বাংলাদেশের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যাচাই করে দেখেছি রোহিঙ্গা হারেজ রোহিঙ্গা সন্ত্রসাী গোষ্টির সাথেও সম্পৃক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে এবং তাকে যারা এনআইডি এবং পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছে সে সব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হবে। একই সাথে দ্রুত এই রোহিঙ্গা হারেজের এনআইডি এবং পাসপোর্ট বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।


 দৈনিক বাংলাদেশ

সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দু শুক্কুর নির্বাহী সম্পাদক: রকসী সিকদার পরিচালনা সম্পাদক : ইকবাল চৌধুরী বার্তা সম্পাদক : আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ
কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক বাংলাদেশ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত