
গত দুই দশকে কক্সবাজার পৌরসভা এলাকায় জমির দলিল জালিয়াতি ও দখল-বেদখলে আলোচিত ২টি ঘটনা। একটি কলাতলী মহাসড়কের পাশে “পিবিআই অধিগ্রহন” অন্যটি সুগন্ধা সচ্ছিদানন্দ সেন গুপ্ত নামে ঘটনা। তথ্যমতে এই দুই জালিয়াত চক্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আলোচনায় আসেন নুরুল হক। তিনি প্রথম ঘটনায় ‘দূদকের’ হাতে আটক হন। দিত্বীয় ঘটনা সুগন্ধার ২০০ কোটি টাকার জমি জালিয়াতির ঘটনায় জেলা প্রশাসনে প্রমানিত হওয়ায় উচ্ছেদ করে দেন নির্মিত বিশাল মার্কেট। কলাতলী এলাকার প্রকৃত জমির মালিক আলহাজ¦ দিদারুল আলম চৌং গং, সরোয়ার আলম গং, মাহামুদুল করিম, মৌলানা সালাম উল্লাহ, জিন্নাত আলী গং ও মহিউদ্দিন গং তথ্যমতে জানা গেছে, নুরুল হক ভূমি জালিয়াতি ও দখল-বেদখলে করে মিডিয়ায় আলোচিত হওয়ার পর ব্যাপরোয়া হয়ে গেছে। এবার কলাতলী ৫ জনের ১০ কোটি টাকার জমি দখল করতে নীল নকশা তৈরী করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
প্রকৃত পক্ষে নুরুল হক রুমালিয়ার ছড়ার শাহাদাদ হোসাইনের রেকর্ডীয় অংশ হতে ১৯৭৪ সালে ৪৪২০ দলিলের ১০ শতক জমি (শ্রেণী বাড়ী) ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমির ৩৭৩৭ নম্বর দলিলের অংশ নিয়ে বিএস ১৮০০ নং খতিয়ান সৃজিত হয়। নুরুল হকের খরিদ সূত্রে জমির তফসিলে আরএস ১৯০০ নং খতিয়ানের আরএস ৮১৩৮ জমির ১০ শতক উল্লেখ আছে। উক্ত আরএস ৮১৩৮ তুলনামূলক বিএস ৪৭২৯/৪৭৩০/৪৭৩১/ দাগ হয়ে নুরুল হকের নামে বিএস ১৮০০ খতিয়ান সৃজিত হয়েছিলো। এদিকে ওই খতিয়ানের ওয়ারিশও সেখানে বসবাস করছেন। কাগজে কলমে এই জমি রুমালিয়ারছড়া হলেও ৫১ বছর পর একই দলিলের ওয়ারিশের নামে ভূয়া দলিল তৈরী হয়েছে। দলিলটিতে তফসিল দেখানো হয়েছে কলাতলী মহাসড়কে। যাহা স্থিত জমির থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে।
তথ্য বলছে, দলিলটি ভূয়া ওয়ারিশের ছবি ও এনআইডি নম্বর বিহীন কিছু ব্যক্তির নামে বানানো হয়। বানানো দলিলটিতে শুরুতে আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নামে ৩৭৩৭ দলিলে ক্রয় দেখান। পরে তিনি এই দলিল দেখিয়ে ১১১২৯ নম্বর বিএস খতিয়ান সৃজিত করেন। এবার দখল প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। শুরুতে ভূমিদশ্যু আবু বক্কর আক্তারুজ্জামানের ভূয়া খতিয়ানের পাওয়ার নেন। তিনিও যেহেতু জমি দখল-বেদখলে নতুন নয় তাই পাওয়ারকৃত জমিটি তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের নামে হস্তান্তর দেখিয়ে ফের ১৯৫২৯ নম্বরে আরো একটি বিএস খতিয়ান সৃজন করেন। সর্বশেষ নুরুল হক ও আবু বক্কর সিন্ডিকেটটি প্রতারণায় সফলতা দেখতে পান। তাঁরা মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে খরুলিয়া এলাকার নেয়ামত উল্লাহ ও আমিন উল্লাহকে ২ কেটি ২৪ লাখ টাকার বিনিময়ে গোপনে দলিল রেজিষ্ট্রি করেন, একই সাথে ৩ মাস প্রচেষ্টায় অনৈতিকভাবে অন্যের জমি দেখিয়ে দখল ছাড়াই ফের ২৫-১১০৮৩৩ নম্বর বিএস খতিয়ার সৃজন করে আলোচনায় আসেন সেই পিবিআই ও সচ্ছিনন্দ সেন সিন্ডিকেট চক্রটি।
ভূক্তভোগীরা জানিয়েছে সেখানে ৪ জনের এই সিন্ডিকেটটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাঁরা টাকার জোরে জমি দখল ছাড়াই অনৈতিকভাবে ভূয়া দলিল দিয়ে খতিয়া সৃজন করেছে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও পুলিশের উপস্থিতি দেখিয়ে হুমকি ও ছবিযুক্ত মিথ্যা সংবাদ ছাফিয়ে জমি দখলের প্রকৃয়াটি শুরু করা হয়। পরে দফায় দফায় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা হয়। এর পর পরেই মোটা অংকের টাকায় অন্যোর দখলকৃত কোটি টাকার জমি দাবী করায় ব্যাপক অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। এমন কি দখল করায় এখন তাদের ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫
গত দুই দশকে কক্সবাজার পৌরসভা এলাকায় জমির দলিল জালিয়াতি ও দখল-বেদখলে আলোচিত ২টি ঘটনা। একটি কলাতলী মহাসড়কের পাশে “পিবিআই অধিগ্রহন” অন্যটি সুগন্ধা সচ্ছিদানন্দ সেন গুপ্ত নামে ঘটনা। তথ্যমতে এই দুই জালিয়াত চক্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আলোচনায় আসেন নুরুল হক। তিনি প্রথম ঘটনায় ‘দূদকের’ হাতে আটক হন। দিত্বীয় ঘটনা সুগন্ধার ২০০ কোটি টাকার জমি জালিয়াতির ঘটনায় জেলা প্রশাসনে প্রমানিত হওয়ায় উচ্ছেদ করে দেন নির্মিত বিশাল মার্কেট। কলাতলী এলাকার প্রকৃত জমির মালিক আলহাজ¦ দিদারুল আলম চৌং গং, সরোয়ার আলম গং, মাহামুদুল করিম, মৌলানা সালাম উল্লাহ, জিন্নাত আলী গং ও মহিউদ্দিন গং তথ্যমতে জানা গেছে, নুরুল হক ভূমি জালিয়াতি ও দখল-বেদখলে করে মিডিয়ায় আলোচিত হওয়ার পর ব্যাপরোয়া হয়ে গেছে। এবার কলাতলী ৫ জনের ১০ কোটি টাকার জমি দখল করতে নীল নকশা তৈরী করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
প্রকৃত পক্ষে নুরুল হক রুমালিয়ার ছড়ার শাহাদাদ হোসাইনের রেকর্ডীয় অংশ হতে ১৯৭৪ সালে ৪৪২০ দলিলের ১০ শতক জমি (শ্রেণী বাড়ী) ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমির ৩৭৩৭ নম্বর দলিলের অংশ নিয়ে বিএস ১৮০০ নং খতিয়ান সৃজিত হয়। নুরুল হকের খরিদ সূত্রে জমির তফসিলে আরএস ১৯০০ নং খতিয়ানের আরএস ৮১৩৮ জমির ১০ শতক উল্লেখ আছে। উক্ত আরএস ৮১৩৮ তুলনামূলক বিএস ৪৭২৯/৪৭৩০/৪৭৩১/ দাগ হয়ে নুরুল হকের নামে বিএস ১৮০০ খতিয়ান সৃজিত হয়েছিলো। এদিকে ওই খতিয়ানের ওয়ারিশও সেখানে বসবাস করছেন। কাগজে কলমে এই জমি রুমালিয়ারছড়া হলেও ৫১ বছর পর একই দলিলের ওয়ারিশের নামে ভূয়া দলিল তৈরী হয়েছে। দলিলটিতে তফসিল দেখানো হয়েছে কলাতলী মহাসড়কে। যাহা স্থিত জমির থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে।
তথ্য বলছে, দলিলটি ভূয়া ওয়ারিশের ছবি ও এনআইডি নম্বর বিহীন কিছু ব্যক্তির নামে বানানো হয়। বানানো দলিলটিতে শুরুতে আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নামে ৩৭৩৭ দলিলে ক্রয় দেখান। পরে তিনি এই দলিল দেখিয়ে ১১১২৯ নম্বর বিএস খতিয়ান সৃজিত করেন। এবার দখল প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। শুরুতে ভূমিদশ্যু আবু বক্কর আক্তারুজ্জামানের ভূয়া খতিয়ানের পাওয়ার নেন। তিনিও যেহেতু জমি দখল-বেদখলে নতুন নয় তাই পাওয়ারকৃত জমিটি তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের নামে হস্তান্তর দেখিয়ে ফের ১৯৫২৯ নম্বরে আরো একটি বিএস খতিয়ান সৃজন করেন। সর্বশেষ নুরুল হক ও আবু বক্কর সিন্ডিকেটটি প্রতারণায় সফলতা দেখতে পান। তাঁরা মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে খরুলিয়া এলাকার নেয়ামত উল্লাহ ও আমিন উল্লাহকে ২ কেটি ২৪ লাখ টাকার বিনিময়ে গোপনে দলিল রেজিষ্ট্রি করেন, একই সাথে ৩ মাস প্রচেষ্টায় অনৈতিকভাবে অন্যের জমি দেখিয়ে দখল ছাড়াই ফের ২৫-১১০৮৩৩ নম্বর বিএস খতিয়ার সৃজন করে আলোচনায় আসেন সেই পিবিআই ও সচ্ছিনন্দ সেন সিন্ডিকেট চক্রটি।
ভূক্তভোগীরা জানিয়েছে সেখানে ৪ জনের এই সিন্ডিকেটটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাঁরা টাকার জোরে জমি দখল ছাড়াই অনৈতিকভাবে ভূয়া দলিল দিয়ে খতিয়া সৃজন করেছে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও পুলিশের উপস্থিতি দেখিয়ে হুমকি ও ছবিযুক্ত মিথ্যা সংবাদ ছাফিয়ে জমি দখলের প্রকৃয়াটি শুরু করা হয়। পরে দফায় দফায় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা হয়। এর পর পরেই মোটা অংকের টাকায় অন্যোর দখলকৃত কোটি টাকার জমি দাবী করায় ব্যাপক অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। এমন কি দখল করায় এখন তাদের ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন